ডেস্ক রিপোর্ট ◑ বিয়ের দাবি করায় দেলোয়ারা বেগম দিলু (২৫) নামে এক সাংস্কৃতিক কর্মীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে প্রেমিক স্বাধীন ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে তাৎক্ষণিকভাবে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরে। দিলু ফরিদপুর শহরের লক্ষীপুর এলাকার বিল্লাল খা’র মেয়ে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি মারা যান। এর আগে গত ২৬শে নভেম্বর বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক আল আমীন ওরফে স্বাধীনের বাড়িতে গেলে সে ও তার পরিবারের লোকজন কেরোসিন ঢেলে দিলুর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিহতের পরিবার জানায়, এক কন্যা সন্তানের জননী দেলোয়ারা। ৬ বছর আগে তার স্বামী মিজানুর রহমান সড়ক দুর্ঘনায় মারা যান।
তিন মাসের পেটের সন্তান নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যান তিনি। বর্তমানে তিনি সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পাশাপাশি নাচ করে বাড়তি কিছু আয় করে সংসার চালাচ্ছিলেন। ৫ বছর আগে শহরের টেপুরাকান্দি এলাকার কুদ্দুস শেখের ছেলে আল-আমীন ওরফে স্বাধীনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এরপর থেকে দেলোয়ারার বাড়তি সকল আয় স্বাধীন নিয়ে যেতো। গত কয়েকদিন আগে স্বাধীন দেলোয়ারার প্রেমকে অস্বীকার করে অন্যত্র বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ খবর পেয়ে গত ২৬শে নভেম্বর দেলোয়ারা বেগম বিয়ের দাবি নিয়ে স্বাধীনের বাড়িতে গেলে সে ও তার পরিবারের লোকজন গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর প্রথমে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনার ৪ দিন পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলোয়ারা বেগম দিলু।
এদিকে, নিহতের লাশ আজ দুপুরে ফরিদপুরে আসলে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে দোষীদের বিচার দাবি করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-